সপ্তফুল
(হুমায়ূন আহমেদ কে)
‡kLi †`e|
সতেজ রোদ দামাল হলো চরাচরে। বেদনা জড়ানো বুকে ক্রমশ
বাড়ছে ব্যথার হাওয়া। দখিনা হাওয়া থেমে যায়, যার উপর ছিল
অনন্ত জোছনা। চাঁদহীন
গতরাতের বুকে কে যেন এঁকে গেল
বিরহী আলপনা। তুমি কতোটা
নিরব হলে চোখের জল থেমে
যায় তা রহস্য। মা বলেছিল
- নক্ষত্র পতন দৃশ্যগোচর হলে
সপ্তফুলের নাম নিতে হয় মুখে। নক্ষত্র ঝরার দৃশ্যে ঝলসে গেল
চোখ। সপ্তফুল
ভুলে মনে ভেসেছে 'চাঁদনী পসর রাত'। সমুদ্র
বিলাসে দেখেছি জোছনা দারুচিনি দ্বীপের ভেতর। আমার বা
তোমাদের কতোটুকু জল তার একটি তরলায়িত ধাঁধায় ঘুরে
একদিন সমূহ চিত্র হলো আলাদা। হলুদ পাঞ্জাবি পরিনি কোনদিন
তবে কোন এক বসন্ত হলুদ পাঞ্জাবি পরে ডেকেছিল তুমুল। সকালে
তীব্র রোদ ভূত না দেখার স্মৃতি নিয়ে হয়েছে ভূতগ্রস্ত। বর্ষা
চুপমেরে আছে বৃষ্টিহীন। শুধু তুলসী পাতার বুকে নির্বাক
তাকিয়ে আছে রোদ। সপ্তফুলের নাম ভুলে দাঁড়িয়ে আছি
দরোজায়। চুপিচুপি
নিশ্চুপ রোদ এসে দাঁড়ালো পাশে।
20.07.2012
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন