রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

পার্সোনাল চ্যাপটার-২

পার্সোনাল চ্যাপটার-২

শেখর দেব

ছুটে যাই-
নিয়মের অজস্র শিকল ছিঁড়ে পলাতক-পাগল
অগোচর রাত ফুরিয়ে
ফিরে আসি বাঁধনের ক্লান্তিতে।

রিকশার হুক লাগিয়ে গোপনে চলি প্রকাশ্য আলোয়
নীল পেড়ে আঁচলে আঁকি ভবিষ্যৎ - ভোর
নষ্ট করে দাও কিছু সকাল!

জবুথবু কবি!
তবুও ভাঙো স্বপ্নের দরোজা নিরবধি-

নিখোঁজ সংবাদ

নিখোঁজ সংবাদ

শেখর দেব

তৃষ্ণাবিনাশী নদীর খোঁজে গিয়েছি ওপাড়ায়।
পূজার প্রদীপ প্রতাপে জ্বালিয়ে কল্পনার অবয়ব
বেঁধে সফল মানুষের মতো হাসি। সাঁতারে সাতপাঁচ
ভেবেও হারিয়েছি দৃশ্যের দিশা। অপূর্ণ পুলকে ভাঙে স্বপ্ন।
স্বপ্নের দোষ  আর গুন বিচার শেষে নদী বুক খুলে দাঁড়ায়।
তৃষ্ণা বেড়েছে দ্বিগুণ। এপাড়ায় নিজের নিখোঁজ সংবাদ
বাজে আকাশে বাতাসে। ডুবে যাই নদীর জলে।

রিক্তরথ

রিক্তরথ

শেখর দেব

প্রশস্ত বিলের দীঘল তালগাছ জানে
বাবুই বাসায় ঢিল ছুঁড়ে সুখ পেড়ে
সবুজ স্বপ্নের স্বপ্নারা
কাদাআল বেয়ে যেত ঝিলে
জলে জলে পানকৌড়িডুব-
ধানের সবুজ চোখ কেড়ে ফিরে ঘরে।

গোবর লেপা উঠোনে নামে বিকেল
দলে দলে চলে দলছুট
                        গোল্লাছুট...

সময়ের তুমুল-তাগিদ
স্বপ্নাদের দৌড়ায় নগর করাল ছাঁচে
ঝিল-বিকেল ভুলে
কংসের আসর জমে ওঠে বেশ, রমরমা
মথুরা পথে আসে না কোন কৃষ্ণ রথ!

বয়োভারে ন্যুব্জ তালগাছে
কোন বাবুই আর বাঁধে না সুখের নীড়।

পাখির ডানায় দূরগামী আঁধার

পাখির ডানায় দূরগামী আঁধার

শেখর দেব

সুরের মোহন মনে দিয়েছি প্রাণ
ভুলে যাওয়া মেঘ - ভাসে চলমান ব্যস্ততা
ডানায় চেপে ছুটে যাই মেঘের মাঠে
কে বলে আমি সুর চিনি না?

সুরের মোহনায় তোমার দুয়ারে এসে
দেখা হল দূরগামী কোন আঁধারের সাথে
সুর থেমে যায় - পাখি ডাকে
পাখি তুমি আর ডেকো না
ঘুমিয়ে পড়ো সম্মোহন সুরায়!

শিশির

শিশির

শেখর দেব

শিশির ভেজালো ভোর, বেশ! বাতাসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে রোদকে
ভালোবাসার স্বপ্নে বিভোর রেখেছে। বিশ্বরূপ দর্শন শেষে ভিক্ষে চেয়েছি
ফুরফুরে কিছু মেঘ; কুরুক্ষেত্রে সেসব মেঘ তীক্ষ্ণ ফলা হয়ে বর্ষিত হবে।

তাদের আদর বোঝনি বলে সমূহ প্রকৃতি প্রতিফলিত হয়েছে চোখের
ভাষায়। শিশিরের শব্দ কোনদিন শুনিনি; তবে কচুপাতা হতে গড়িয়ে
জলরাশির বিশদ বুকে 'টুপ' শব্দ তুলেছিল সেদিন।

মাটি

মাটি

শেখর দেব

মুক্ততার সাইনবোর্ডের আড়ালে
মহত্ত্ব বিকিয়ে গেছে জড়িত বলে

এখানে শুধু মা মাকড়শারা
বসে থাকে মৃত্যুর আমন্ত্রনে
সন্তানেরা চুষে খায়
ভালোবাসা, আবেগ ক্রন্দনের ভানে

মনোচেতনা বেড়েছে ঢের
সন্তানেরা বোমাবাজ
                কতকাজ!

ছেলে মাকড়শারা মিছিল করে
মায়ের রক্তেভেজা মাটিগুলো
চেয়ে দেখে সন্তানের সন্তুষ্টি
সন্তানের স্বাধীনতা।

মেলাখেলার দেশে

মেলাখেলার দেশে

শেখর দেব

এতকাল কি তন্ত্রে নেচেছে পুতুল?
অবহেলার হাতুড়ি হজম করে হেসে
মেলাখেলার দেশে
ভেবেছি এ হল নীতির পথ!

ক্ষমতার পেটে লালিত হয়েছে  জ্যান্ত অজগর
যার শ্বাসটান বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে
আটষট্টি হাজার গ্রামে
পালিয়ে বেঁচেছি কতকাল, ক্ষুধা গেছে ঘুমে।

আজ রাস্তায় নেমেছে বেওয়ারিশ শিকারি
ক্ষমতার পেট হতে মুক্ত হয়ে অজগর
পাড়ি দিয়েছে দূর বনে
এখন খোঁয়াড়ে কাঁদে ক্ষমতা।

গভীর হতে ওঠে আসা নিঃশ্বাসে শান্তি।

মেলাখেলার দেশে সবাই এখন হাসে।

অবিশ্বাসের ফাঁস

অবিশ্বাসের ফাঁস

শেখর দেব

যে হাসি নিভে গেছে বাপদাদার ভিটায়
সে হাসি উপহাস চারপাশ
প্রয়াত হাসিতে যে প্রলেপ লেগেছে কান্নার
সেখানে এখনো প্রাণ নাচে সাপের লেজে

সাতপাকে গড়েছিল যে সম্পর্ক, সাক্ষী কলাগাছ!
তারই পুকুরে আংটি ফেলে খুঁজেছে আনন্দে দু'জনে
উৎফুল্ল দর্শকের ভিড়ে!
তাও হয়েছে প্রশ্নের সম্মুখিন
                          অবিশ্বাসের ফাঁসে

এখনো সম্পর্কের ফসলে আগুন জ্বলে
                              নির্বাক মুদ্রায়।

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সময় খুঁজে ফিরি

সময় খুঁজে ফিরি

শেখর দেব

সময়ের প্রস্থান দৃশ্যগুলো
দেখার মতো হয় অবহেলায়
আসন্ন নবিন সময়গুলো
এসপার ওসপারের অপেক্ষায়
থেকে থেকে ফিরে আসে মস্তিষ্কের মৌতাত

আস্ফালনে কোষের রকমফের
লাটে উঠে গোছালো অগোছালো সব
সম্ভাবনার শিশির
মাড়াচ্ছি আর অদৃশ্যে লোপাট
হচ্ছে আলোর সড়কগুলো।

ছাগলছানারা মাড়ায় ভাঙা ঘরের মাটি
যাদের চোখে তোয়াক্কাহীনতার ছাপ
চোখের জল ঝরে আড়ালে

অর্বাচীন স্রোতের আশায়
এখনো সময় খুঁজে ফিরি।

বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মুখোশ

মুখোশ

শেখর দেব

উন্মোচিত ধারাপাতে সম্পর্কের অর্বাচীন স্রোত দৃশ্যমান আজ
হাসির প্রতিমা যেখানে সাজিয়েছে শত নির্যাতনের ঘেরাটোপে
ভেতরের কাষ্ঠদণ্ড মালুমে আসেনি বাহ্যিক ঢাকঢোলানন্দে!

অবিন্যস্ত পদচারণে বড়ত্বের অহংকার নুয়ে-চুয়ে একাকার
দ্যাখ, যে সম্পর্ক রক্তের তাও আজ বড় অচেনা, এলবেলে

বাহ্যিক ভাবভঙ্গি সততার সংগ্রামের যে উপকরণ শিক্ষার
সে সংগ্রামই খুলে মেলে আলো ছড়িয়েছে, উন্মুক্ত অবয়ব
আর উত্থিত অভিশাপগুলো অজগরশ্বাসে গিলে খেয়েছে
সচ্ছলতার সব শাখা-প্রশাখা উন্মুল

অসহ্য অন্ধকার সময়ের খোলস ভেদ করে প্রতিবাদে পড়ে ফেটে
এবং অর্বাচীন ক্রোধজ কান্নাগুলো ডুকরে উঠে দু'চোখ বেয়ে।

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কৃষ্ণ কষ্ট

কৃষ্ণ কষ্ট

শেখর দেব

কদম-তমাল-দেবদারুর গায়ে খুঁজেছি স্বর্গের আভাস
ভেসেছি নীলকষ্টের যন্ত্রণার নরক
কৃষ্ণের বাঁশিতে-হাসিতে সুরের জাদুতে ভুরভুর
রাধার প্রেম ছিল ছেলেখেলা, অনুভূতিহীন।

কদমে বসে প্রেম বিলানোর হাট
রাধারা দলবেঁধে কিনে আনে জ্বলন্ত প্রেমফল
তবে তমালে বসে না এখন রাসলীলার আসর-বাসর।

কৃষ্ণকষ্টে দেবদারু বান্ধে না মেঘেদের প্রেম ডোরে
চায় শুধু উড়তে উড়তে মর্ত্য ছাড়তে বিরহ ভারে

কৃষ্ণ প্রেম বিলায় সব সীমানায়
রাধারা শিখেছে ছলনা নিষ্ঠুর বেশ।

সম্মোহন বিষ

সম্মোহন বিষ

শেখর দেব


কষ্টের নকশিতে মুখ লুকাবে বলে
পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের ভেলায় দিয়েছি ঘুম
সমূহ স্বপ্ন তালুতে পিষে

যে বটবৃক্ষের গায়ে তোমার লতানো ছাপ লেগে আছে
তার কথা ভাবলে না
ভাবলে না সেইসব জোনাকপোকার কথা
যারা দীনের ঝোপ-ঝাড় ও রাতের কাছে ঋণী

শয়তানের দোসর হবে বলে
মুহূর্তে তুড়ি দিলে অতীত সংলাপের
জল গড়াগড়ি, ভুলে গেছ সেই প্রবারনার চাঁদ

অদৃশ্য কিছু মেঘ এসে ফিকে পূর্ণিমায়
লতিয়ে ওঠে না সম্মোহন বিষ
বারবার অদৃশ্য এক সাঁকো ভেঙ্গে যেতে
                            চায় শয়তানের ইশারায়

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আমি আর নাই

আমি আর নাই

শেখর দেব

দৃশ্যের কুয়াশায় অবিরাম হুট-হাট নাগরিক পদচারণা
অবচেতন আদিম অবয়বে শুয়ে
হাঁটু-বুক জড়িয়ে শুনি কিন্নরের কান্না, মর্ত্যের গান
চলমান সুরের তানে বুঝে নেই অচেনা গল্প।

অচেনা কোন এক লিঙ্গ অচেনা এক যোনিতে
দিয়েছে জলের শরীর আমার; অচেনা কষ্টের
অবসানে চেনা যোনি ছুঁড়ে দিয়েছে নাগরিক ভিড়ে

অপরিচিত হাতে হেঁটে হেঁটে গিয়েছিলাম দুধেল বাড়ি
কিন্তু সোঁদা টানে সেই মাটিতেই এসেছি ফিরে
পড়ে আছি চেতন-অবচেতন
কোন এক স্বগতোক্তি নরোম মায়ের বুকে
'কার সোনা পড়ে আছে হায়!'

আমি হয়তো এখানে নয় অন্য কোথাও
আর নাই আমি।

বড়ই টানে
কতদিন শুনিনা কিন্নরের গান!


বন্ধুতা

  বন্ধুতা

শেখর দেব


বিশ্রামের ছোঁয়ায় নিরব হয়ে আসে রাত্রি
সুগন্ধি ছড়ায় জ্বলন্ত ধুপকাটি
অজানার পথে জীবনের চলন্ত গাড়ি
পুড়ে ছাই আবেগের ধূসর ভস্ম হাতে
বুঝিনা বন্ধুতা কিছুই যা হৃদ্যতা।

বিশ্রামের বালিশে ঘুমায় সূর্য, ঝিমঝিম
ঘুমপাড়ানি গানেও আসে না ঘুম
সুপ্ততায় কমেনা জ্বলন্ত তেজ
অভিনয় শুধু কিছু মৌনতার স্বার্থে।

বন্ধুতার ঋণ হবে কি শোধ?
আবেগের মুনাফা পারিনা দিতে সব
উড়ে গেছে যা নীরব হাওয়ায়
জানকি বন্ধু আবেগ কতোটা সতীন বাস্তবতার।




সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

হৃদয় বৃত্তান্ত

হৃদয় বৃত্তান্ত

শেখর দেব

একই বৃত্তে ঘোরে বলে একই গল্পের সৃষ্টি
চোখ আর আয়না, আয়না আর চোখ সেই
একই প্রতিফলন, সময়ের খুনসুটি।
নাই নাই কাব্য নাই বলেই, তবুও আগুনকে ভয় পাই
এবং ঘরের মন ও বাইরের মনে পার্থক্য অনেক।

জমকালো আনন্দ ও গুমট আবহাওয়া যেন
মানুষের পেট ও পিঠ। কষ্ট! কষ্টের বর্ণহীনতা
শেকড় ছাড়া করছে ভ্রষ্ট মনকে আর
জেগে থাকা বিশ্বাস সাহসে চুষে খায় বর্তমান।
গিলে খায় ধৈর্য ও বাস্তবতার কটু রস।

হৃদয়ের এক ফালি আস্ফালনে মাথা কুটে দূরে
অন্যফালিতে রোমাঞ্চ আসে অনাগত বন্ধনে।

সুরের কিছুই বুঝিনা আগামাথা
শুধু কাঁদার জন্য হাসি আবার
কখনো - সখনো হাসার জন্য কাঁদি
সময়কে ছাড়িয়ে যাবো বলে।

ভারি বাতাস

ভারি বাতাস

শেখর দেব

বাস্তবতার সাম্পানের ভাঙ্গা কাঠ, ভারি বাতাসের প্রবাহ
জোড়াতালি দেয়া মাঝির কপাল
গুলিয়ে ওঠা গরম বাতাসে কোমল বাখ্যালাপের প্রসব
বাহ্যিক অবয়বে যদি দু'আঙুলে লাগে কচকচে আরাম
ঘরের বাতাসে ভাসে ইলিশভাঁজার গন্ধ।

ঘাসে শিশিরের কষ্ট, রসহীন শীতের কলসে
কাঠঠোকরার তীক্ষ্ণ চুম্বন, শুকনো খড়কুটোর
আর্তি দিয়ে চাঙা করা হৃদয়ের  উষ্ণ সুখ আর
বিমর্ষ ভস্ম উড়ানো ঠাণ্ডা বাতাস-
                                              ভারি বাতাস
                                              উষ্ণ বাতাস
                                              ঠাণ্ডার আভাস।

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

লাইক এ পিচ অফ কেক

                                                   লাইক এ পিচ অফ কেক
                                                           শেখর দেব
                      
                           তোমার অপরূপ মায়ার স্নিগ্ধতায় ডুব দিয়ে
                           বিচ্যুত কক্ষপথের বাগান মঞ্জুরিত হলে
                           পুনর্বার প্রাণ ফিরে পাই;
                           পেয়ে গেছি অবসর অনেক, ভাসমান মেঘের বিভায়!

                           রক্তিম আভায় ভোর মাতানো নক্ষত্র, উদয়োন্মুখে উদাস হলে
                           তুমি কিছু আলোকবর্ষ দূরে হেঁটে যাও;
                           খুঁজে আনি শিল্পের সুষমায়-

                            একবার জলন্ত আগুনের শরীর গিলে আমার
                            কাছে এসেছিলে নেভানোর আবদার নিয়ে; সাহায্যের
                            হাত বাড়ালে না নিয়ে ফিরে গেলে রাজকন্যাদের ভিড়ে,
                            গলে গেল মোমের শরীর আমার, দর্শকের ভুমিকায়
                            হাততালিতে মজা করলে; অনুভূতির জলসিঞ্চনে
                            বেড়ে ওঠা বোধের গাছপালা মরে গেলে তুমি চুপচাপ
                            হেঁটে গেলে নিরবতায়;
                            তুমি জানো ভুলে যাওয়ার ধারাপাত
                             লাইক এ পিচ অফ কেক।

মোক্ষলাভ কিম্বা বাহারি বেলুন

                                             মোক্ষলাভ কিম্বা বাহারি বেলুন
                                                        শেখর দেব

                                           উদয় আকাশ-জ্বলে বাহারি বেলুন
                                           আলোর এপিঠ-ওপিঠ ছেড়ে চলে আসি
                                           বেলুন-ভুবন ঘিরে চলে শব্দনাচন
                                           তুমুল-তোড়ে ভাঙে কবি-মদনমোহন।

                                            মনোকোষ ভাঙে উদাস পথে
                                            নিউরণে রমণ-রক্তহোলি...।

                                            উপভোগের রাস্তা বেয়ে ক্রমাগত হাঁটি
                                            সফল সঙ্গমকথা নিয়ে
                                            মাটির মমতা জাগে সকরুণ।

                                            জন্মমবীজ বুকে বেঁধে
                                            এখান্তে পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন।

                                            পা বাড়াই মোক্ষলাভের পথে।

বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মাটির আয়না



মাটির আয়না
  শেখর দেব


বিমূর্ত মুহূর্তে সমুজ্জ্বল স্বপ্নগুলো
                বৃষ্টির বৈভবে হারানোর আনন্দে
ঘরের ছালা হতে গড়িয়ে বুদ্বুদ তোলে মাটিতে।
                ভেসে যায় উজ্জ্বল আকাশ অনাবিল
মাটিতে আয়নার প্রমাদে জাগে শূন্যের সার।

বিগত বিমূঢ় বর্ষা ভাসায়নি তুমুল আবেগে
নিরবতার চাদরে দুঃস্বপ্নের ওম
                বানিয়েছি স্বপ্নের সংসার।

বৃষ্টি হলে থরথর কাঁপে গাছ
গা বেয়ে নামে সর্পিল সোহাগী জল
একদা বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিলাম প্রিয়ার দোদুল শরীরে
                                কপালে
                        গালে            গালে
                                ঠোঁটে
                                চিবুকে
                                আর
                        বুকে           বুকে
ম্রিয়মাণ মানুষ ঝরে যায় সমস্ত চরাচরে
নাগরিক নয়নে জাগে স্বপ্নের সুর
বৃষ্টির বিম্বে নাচে মুগ্ধ মুখ
সোঁদা গন্ধে ডুবে
                ভেসে উঠি মাটির আয়নায়।

প্রেম ও চেতনা

                                    প্রেম ও চেতনা
                                        শেখর দেব

আমার সমগ্র চেতনা তোমার হাতে দিয়ে বলেছিলামঃ
রেখো সযতনে, অচেতন কাটিয়ে দেবো বুকের বিভায়।

ফুল দিলে, রঙিন বেশ
পাপড়ি খুলে ছড়িয়েছি তোমার দোদুল বুকে
সুগন্ধে নাক গুঁজে পেয়েছি সজিব সুখ।

বৃষ্টি দিলে, ছন্দ বেশ
চঞ্চল জল ছড়িয়েছি তোমার নরোম বন্ধুর পথে
সর্পিল বয়ে গেছি চপল চরাচরে।

প্রজাপতি দিলে, বর্ণিল বেশ
উড়ে গিয়ে ছুঁয়েছি তোমার নরোম রঙিন ঠোঁট
পাপড়ি ছোঁয়া সুখে কেঁপেছি মৃদু।

সুর দিলে, আকুলতা বেশ
কতো গানে তোমার কথা সুকুমার সুখে নাচে
অচেতন আনন্দে ভেসেছি বশীভূত বাতাসে।

চেতনা দিলে, কঠিন বেশ
বর্ণহীন হলো ফুল
বৃষ্টি হারালো ছন্দ
চঞ্চলতা হারালো প্রজাপতি
আকুলতা হারালো সুর
পৃথিবীর অমোঘ আকুতি দেখে ভুলেছি সব।

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

রঙিন ভ্যকুয়াম

iwOb f¨vKzqvg
‡kLi †`e|

gvbyl‡K †`e‡Z¡i ¸Yvejx e¨vL¨v Ki‡Z wM‡q
Avwe®‹vi K‡iwQ
gvbyl e‡ov †ewk nvwm-Lywk  mvgvwRK

‡fZ‡i gvbyl ¯^v‡_©i mgvb wbôzi
mvgvwRKZvi †Lvj‡m †mB A™¢yZ A¤^i
gb †Lqvwj c„w_ex †f‡e
cvËv bv w`‡Z wk‡L‡Q Lye

gvby‡li ¸Yvejx welqK †Kvb M‡elYvq
‡h wPÎ †dv‡U ev¯—eZvi wbwiL
Zvi me evwZj K‡i
gvbyl †`eZv I cïi gvSvgvwS
Z‡e †m †`eZvi w`‡K bq
ckyi KvQvKvwQ Lye

gb ¯^M©xq mylgv wb‡q gvby‡li †fZi
M‡o‡Q bZzb ¯^M©
wKš‘ gvbyl †ev‡Swb Gme

mvgvwRKZv iwOb f¨vKzqvg
k¦vmK‡ó g„Zy¨i Lei †Mvcb n‡q‡Q me|


পিচ্ছিল প্রেম

wcw”Qj †cÖg
‡kLi †`e

`„‡k¨i K_v e‡jv bv
Av‰kke Qz‡U Pjv evsjvi cÖvš—‡i
‡Ljvi Zzgyj †Nv‡i
Pcj UzbUzwb-‡Pv‡L †`‡LwQ mg~n †mŠ›`h©|

we‡ji k¨vIjv †V‡j
Abe`¨ †Kvb Kvgbvq Wye †`qvi
¯^cœ wb‡q †`wLt
Pviw`‡K my`„k¨ kvwgqvbvi wb‡P
RjKzgvix nv‡Z Zy‡j w`j A‡gvN `„k¨Kí
‡mB n‡Z k¨vIjv gv‡b wcw”Qj †cÖg|

A`g¨ ah©¨ †h w`‡q‡Q
Zvi Kv‡QB †i‡LwQ mg¯— `k©b
`„wói †XD n‡Z GKwU cÖvÄj cÖvY
Zz‡j G‡b e‡jwQt †Pv‡L bv co‡j
`~k¨ Kíbv nq Kíbv `„k¨ nq bv|

hw` Zzwg k¨vIjv nI Z‡e
Kzgvix `k©b n‡eB GB gv‡n›`ª †gv‡n|

বোশেখ



†ev‡kL

‡kLi †`e

c„w_exi GKivk D¾¡j wbf©iZv‡jvwKZ †fvi
fv‡jvevmv Avi Awk©ev‡`i nvZ
‡n‡m I‡V wcÖq gvby‡li †VvuU
evsjvi  cÖvš—‡i c‡_ Acwi‡gq D”Q¡vm
‡ev‡k‡Li Av‡jv‡Kv¾¡j evZv‡mi †Rvqv‡i
‡f‡m hvq wPivqZ †kKo
njy`-evuUv mœv‡bi wbg©j NÖvY
GL‡bv ¯^M© ‡mªv‡Zi Aven Av‡b N‡i|

Xv‡Ki ¸o¸o k‡ã fv‡O †fv‡ii Nyg
m~‡h©i wgwó †iv`
iwOb cvwL-dz‡j gyLwiZ c_
evwjKvi iwOb Mv‡j bZz‡bi cyjK nv‡m
Dj­v‡mi gwngvq gvbyl gvwUi Wv‡K Rv‡M
RvMwZK RxweKvi Uvbnxb GKw`b
gb †gvnbvq †f‡o evsjvi cÖvPz‡h©¨i Zix|

cÖ_g cÖn‡ii †cje †Vvu‡Ui ci‡k
Nyg fvOv †ev‡kL Zzwg Zzgyj gvZg gvZvj
weinx nvZ GK n‡q Av‡mv Mjvq Mjvq
weMZ Avuavi gy‡Q G‡mv bZzb
fv‡jvevmv †Zvgvi A›`i-AeMvnb
‡ev‡k‡Li PÂj meyR Zzwg ey‡K †e‡ua †i‡Lv
cÖk¦v‡mi myZxeª Avb‡›` Qz‡U hv‡ev
‡iv` evo–K Ñ evnvwi cvLv n‡q Rywo‡q †`‡ev
G †ev‡k‡L Kv‡Q †_‡K ey‡K
mg~n evsjvi Awfev`b Ñ †n bZzb †ev‡kL
Zzwg QovI gwngv Ñ I wcÖqv evsjv Awfgvwb|

সপ্তফুল

সপ্তফুল

(হুমায়ূন আহমেদ কে)

‡kLi †`e|
সতেজ রোদ দামাল হলো চরাচরেবেদনা জড়ানো বুকে ক্রমশ
বাড়ছে ব্যথার হাওয়াদখিনা হাওয়া থেমে যায়, যার উপর ছিল
অনন্ত জোছনাচাঁদহীন গতরাতের বুকে কে যেন এঁকে গেল
বিরহী আলপনাতুমি কতোটা নিরব হলে চোখের জল থেমে
যায় তা রহস্যমা বলেছিল - নক্ষত্র পতন দৃশ্যগোচর হলে
সপ্তফুলের নাম নিতে হয় মুখেনক্ষত্র ঝরার দৃশ্যে ঝলসে গেল
চোখসপ্তফুল ভুলে মনে ভেসেছে 'চাঁদনী পসর রাত'সমুদ্র
বিলাসে দেখেছি জোছনা দারুচিনি দ্বীপের ভেতরআমার বা
তোমাদের কতোটুকু জল তার একটি তরলায়িত ধাঁধায় ঘুরে
একদিন সমূহ চিত্র হলো আলাদাহলুদ পাঞ্জাবি পরিনি কোনদিন
তবে কোন এক বসন্ত হলুদ পাঞ্জাবি পরে ডেকেছিল তুমুলসকালে
তীব্র রোদ ভূত না দেখার স্মৃতি নিয়ে হয়েছে ভূতগ্রস্তবর্ষা
চুপমেরে আছে বৃষ্টিহীনশুধু তুলসী পাতার বুকে নির্বাক
তাকিয়ে আছে রোদসপ্তফুলের নাম ভুলে দাঁড়িয়ে আছি
দরোজায়চুপিচুপি নিশ্চুপ রোদ এসে দাঁড়ালো পাশে

20.07.2012

অনন্ত অংশিদার

Abš— Aswk`vi
‡kLi †`e

fvlvnxb µvwš—Kvj wbe©vK Mv‡Qi Õc‡i e‡q hvq So
Avuav‡ii †Kv‡l Av‡jvi KYv¸‡jv Amnvq
ZeyI †fv‡ii KjvcvZv duv‡K iw³g Avfv
‡cÖg Rv‡M mgwngvq|

cÖK…wZcv‡Vi kvb evuav‡bv NvU
gvQivOvi mPZzi ‡Pv‡L my`„k¨ cyKz‡ii fv‡jvevmv
g„`y nvIqvq bv‡P Mnxb cÖv‡Yi Rj
mœvbiZ m`¨ evoš— evwjKvi
wkivi wkniY †`L‡Z †`L‡Z B¯‹z‡j n‡Zv †`wi|

B¯‹y‡ji cÖk¯— gv‡Vi AweKj GKUzKiv AvKvk
eyKc‡K‡U wb‡q g‡bv‡hvMx Q‡Îi wf‡o
wKQz `„‡k¨Kí Qwo‡q w`Zvg †`‡n Ñ †`‡n|

mvZPvov †Ljvq nviv‡bv ej LuyR‡Z wM‡q
‡c‡qwQ Acvi Rvbvjv
‡hLv‡b Kv‡ji Acvw_©e wbieZv
c„w_exUv GKUzK‡iv †ev‡k‡Li KvuPv Avg|

wbieZvi eqm ev‡o †ek
msµvwš—i Drm‡e Abš— Aswk`vi
                                                ‡nu‡U hvB mywbweo my›`‡i GKv|          

সুতো ছেঁড়া পাখি

my‡Zv †Quov cvwL

‡kLi †`e

c„w_exi AvKvk h‡Zv
Dwo‡qwQ Nywo
PÂj
my‡Zv †Quov cvwL
Av‡Rv D‡o Amx‡g

w`‡qwQ Ag~j¨ h‡Zv
g~j¨nxb †f‡e
K‡Zv
`~‡i †M‡j Rvwb
K‡Zv ¶Z ey‡K Sjgj|

f~eb †gvwnbx jZv
Ujgj  DËvj
b`x
eq †ekvgvj
kvgvj kvš— mvMi|

K‡ZvUv Mfxi n‡j
fvmvq fv‡jvevmv
myL
nv‡m N„Yvi gg©g~‡j
Av‡ek gvqvgq weå‡g fv‡m|

ইনফিনিটি সল্যুশান

Bb&wdwbwU mjy¨kvb

‡kLi †`e

wKQz AsK
                                                ‡hm‡ei mgvavb
cyw¯—Kvq a‡iwb mvejxj
Zvi RwUj avuavq Ny‡i
                                                ‡Pv‡Li c`©v Ry‡o
fv‡m bM` c„w_ex
RqZz ˆLqvg
                                                Igi ‰Lqvg|

kZ AsK
                                                KlvKwl K‡i
Gc_ Ic_ †Q‡o
wb‡LuvR c_ a‡i
‡nu‡U hvIqv bxj kwo...

Zzwg
mjy¨kvb Bb&wdwbwU

পথকাব্য



c_Kve¨

‡kLi †`e

c‡_i evu‡K c_ dz‡jj AvuKv
KiZ‡j Mov mg‡qi gvjvq
mvRvB A‡gvN kixi
my‡ii †gvnb Kv‡R m‡¤§vnb mwÜ
‡R‡M I‡V Avš—wiK AvnŸvb

mxgvbvi evua fvOv †XDÑbv‡P ü`qb`x
KjKj RjÑmybxj myL
wkwki †fRv Sjgj cÖwZdjb
cvZvi †dvK‡i Qyu‡q †`q gb

K_vq K_vq fv‡O c_
gZvg‡Z nv‡m K_vÑﮋ evjyZU
Av‡mbv †Rvqvi c‡_i g‡Z
`yÕw`K `yÕw`‡K †Qv‡U
Avcb e¨_vi gvjv †Mu‡_

মনোরেখা পথ

g‡bv‡iLv c_

‡kLi †`e

wbieZv †W‡K‡Q A‡bK| Svcmv c_‡iLv Avu‡K mg¯— meyR|
c‡_ c‡_ †gŠbg‡š¿ wk‡LwQ †kKo-wk¶v| AZjv‡š— Wye‡Z
Wye‡Z AvKvk‡jv‡K D‡VwQ †f‡m| †gvnbmyi hvq †_‡g|
mieZvi NbNUvq NUbvi N‡U we¯—vi| AevwiZ gb
AweiZ ‡nu‡U‡Q PÂj AÂj Ry‡o| e¨_v Kzwo‡q †i‡LwQ
‡e`bvi †kv-‡K‡m| †mw`b iex›`ªbv_ w`‡qwQj e¨_v evRv‡bvi cvV|


নির্লিপ্ত আয়না

wbwj©ß Avqbv

‡kLi †`e

m‡i †h‡Z n‡e wbwj©ß Avqbv n‡Z
cÖwZ”Qwei cÖgv` nv‡Z
                                                iwPZ Kz‡uo N‡i mwÂZ ¯^cœ
w`‡q‡Q wew”Qbœ MÖ‡ni Avgš¿Y|

‡Zvgv‡K wb‡q GKv nevi
                                                Awfjvl †bB
eis
GKvB i‡q hve
wkDwjZjvq †dvUv Avqbvi AvwObvq|


ম্যাসেজ ও কথিত ফুলপাখি

g¨v‡mR I Kw_Z dzjcvwL

‡kLi †`e

iv‡Zi evwj‡k R‡ov nq Avuavi| Av¶wiK AvKv‡k Wvbv
‡g‡j a‡‡i cvwL| cweÎ cv‡ci my‡Zv Ly‡j †`Lvq Av‡eMx
evMvb| we‡fvi evZvm †`v‡j gbdz‡j fy‡j|

AvKv‡k AvKv‡k †e‡o‡Q Zzgyj-ZvwM`| cvwL Avi dzj gk¸j
gvZg gvZvgvwZ gayi gv‡V| dz‡ji KcU Kvco Ly‡j `M`‡M
¶Z †`‡L evuab gb wQu‡o hvq cvwL| †e`bvi evwj‡k
Rv‡M eilvi ivZ|

জলকুমারী



RjKzgvix

‡kLi †`e

ü`q eivei †h †gvwnbx b`xwU e‡q †M‡Q †mLv‡b
‡Zvgvi  AvuPj fvwm‡q Zz‡j w`‡j A‡gvN †XD
AvwgI ey‡S wbjvg evu‡Ki gy`ªvq Nywg‡q _vKv
c„w_exi Av‡jv evZvm K‡ZvUv Av‡gvw` my‡i
‡W‡K Av‡b AZ‡ji RjRxeb!

Wvû‡Ki ¯^fv‡e †nu‡U †M‡j †Zvgvi cÖqv‡m
‡e‡o IVv GK‡Svc K_vi Dci; g„Zer b`xwU‡Z
RvwM‡q w`‡j bZzb myi, bZzb jq
`„‡k¨i Rj Gm f‡i †Mj Kvbvq Kvbvq
AvuPj R‡ji m‡¤§vn‡b Ly‡j †Mj bZzb †ZviY
                                                               bZzb evuK!
         
‡Kvb Avw`g elv©q A_B Rj †Zvgvi
AvuPj a‡i Uvb w`‡j
Wye w`‡q n‡q †M‡j RjKzgvix!
Zzwg GLb
kuv‡Li k‡ã bvP Rj-gy`ªvq|

বাবার চোখ


evevi †PvL

‡kLi †`e



    গ্লানির Rj S‡i‡Q †Pv‡L| i‡³i cÖevn‡K ¯^Ztwm× a‡i
M‡o‡Q evMvb; †Zcvš—‡ii gvV g‡b †eu‡a dz‡U‡Q dzj|
cÖRvcwZiv †n‡m‡Q| G‡m‡Q mywbweo my›`i| em‡š—i †Luv‡R
‡KvwKj Avi cÖRvcwZ K‡i‡Q mfv|

‡ev‡k‡Li G‡jvZzwj †kl‡gk iv‡Lwb Ae‡kl| wg‡Q gvqvq
i³‡K fv‡jv‡e‡m wM‡q‡Q cÖRvcwZi Kv‡Q| cÖRvcwZ
GLb Av‡eMx evMvb wP‡b bv| †PvL `yt¯^‡cœi Av‡jv
wb‡q QyU&‡Q my`~i|