গোলাপ-ঘুম
অবাধ্য বেদনা হতে
সরে যায়
প্রাত্যাহিক বিকেল
সতেজ গোলাপের শুকিয়ে
যাওয়া দেখে
পুস্তকের সাজানো অক্ষরগুলো
বিষাদের অন্তর্গত সুখের
মাঝে হারায়।
ঘুমের বিবিধ ব্যঞ্জনের
মহিমা নিয়ে
জেগে ওঠে
বিচ্ছিন্ন বিকেল আর
অসীম প্রেম…
সফেদ গোলাপের সমুহ
গন্ধ নিয়ে
পরিপাটি পুস্তক হাতের
তালুতে মেলে
ধরে
তার নির্ণিত বিষাদ
আর
পরম আকুতি।
সমস্ত চেতনা তার
বিম্বিত দেহে
মিশে গেলে
বিষাদ-সুখ নিয়ে
গোলাপ
নির্ভরতার বুকে নিমেষে
কুঁকড়ে যায়
সলাজে।
ভালোবাসা ছাড়া নাই কোন ফুল
ফুলের কাছে তার
গন্ধযাপনের
অম্লান ইতিহাস জানতে
চেয়ে
ঈশ্বরের পুজোতে বলি
দিয়েছি
পাশবিক প্রেম।
সেই থেকে মসজিদের
আযান আর
শাঁখের শব্দে
যুগপৎ বেদনায় ডুবে
যাই
ফুলের নির্মোহ
অন্তরে।
অন্ধ আর বধির
প্রেমের শরীর
নিঙড়ে
নির্বাণের ঘোরে
ফুলের সহজাত স্নিগ্ধতার
ভেতর
জেগে আছে
ভালোবাসার সুন্দর অন্দর।
এতকাল ঘুরে ঘুরে
বুঝেছি
পৃথিবীর অসীম অন্তরে
যে ফুল ফুটে
অছে
নাম তার ভালোবাসা
ভালোবাসা।
নীলকন্ঠ
তুমি এমনি চুপ
রয়ে যাবে
জানলে
ফুলের স্নিগ্ধতাকে বুকে
নিয়ে হতাম
উদাও
শিরার আহুত শিহরণে
লাগিয়ে দিতাম
তুমুল হোলি
অথচ আকাশে সুগোল
চাঁদ পেয়েও
হাতছাড়া হয়ে
গেছে নিশ্চিত
নির্বাণ।
কতদূরে যেতে পারি…
বিষাদের বিশদ বুক
হতে কোন
বিকেল ছিনিয়ে
যদি মন্থনে মন্থনে
উঠে আসে
বিষাক্ত নীল
তবে নীলকন্ঠ
হয়ে কেটে
যাবে বাকিটা
জীবন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন