পকেটে নীরবে শুকালো যৌবন... | ||||
শিউলি ফুলের আবেগ পকেটে রেখে এসেছি মুগ্ধতালয়ে ইঙ্গিত-কলা বোঝাবার ভাষা বোঝনি তেমন হিসেবের খাতায় এঁকেছি ব্যর্থতার ফুল পকেটেই শুকালো শিউলি বেলা যেতে যেতে উঁকি দেয় বাড়ন্ত বুক - শিহরণ জ্বালা তবু ছিলাম কাছে তার গাঁথা হলো না কোন মালা। এতদিন পর কেন তবে ডাকো শিউলি আর ফোটেনা তেমন পকেটে নীরবে শুকালো যৌবন... এখন কেন কথার ঝুড়ি উছলে ওঠে বুকের বাঁকে ঠোঁটের মায়া নিয়ে গেছে অন্য বুকের কোমল গানে ডেকোনা আর নষ্ট নীড়ের সুখের মোড়ে আছিতো বেশ প্রিয়ার বুকে কারণে বা অকারণে। রাহুশনিময় নতুন জীবনের কথা শুনেছি কতো রহস্যের ধারাপাতে জন্মাবধি দৈহিক সুখে লেগেছে শনি কিংবা রাহুর রাত্রি অথবা দুইয়ের মিলনে হয়েছে শুভাশুভ সব ভণ্ডুল ছোটবেলায় ছাগশিশুর বদলে শনির কাছে ভিক্ষে চেয়েছে অনন্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যত তীব্র কাঁপন দিয়ে জ্বর এলে মাকে দেখেছি দিশেহারা মনের মানসে। সেদিন মশার পিঠে চড়ে এলো রাহু শনিসমেত শুরু হলো তাণ্ডব মা কালি তার লকলকে জিবে চেটে নিবে সব... সেদিন জোড়া কবুতরের বিনিময়ে মা ভিক্ষে নিয়ে এলো নতুন জীবন। অদৃশ্য শূন্যতায় চলে রাহুশনিময় সংসার এসবের কিছুই বুঝিনা সাংসারিক কারবার। নিস্বার্থ প্রয়াস কতোটা রিক্ত করে তোমাকে দিলে মন বলবে করেছি কিছু তবে প্রাধান্যের মাত্রা কতোটা গভীর হলে একবার বলবে তবে করেছি হাতের মুঠোয় গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্ন নিয়ে যেই তোমাকে দেখাই বায়বীয় হয় সমস্ত প্রয়াস। স্বার্থের সুতো তোমার হাতে দিয়ে বলেছি: বড়ো বেশি তুমি আমার আলিঙ্গনের ভেতর ফুলের মতো ফুটে থাকা নরোম যুগলে ঠোঁটের নিস্বার্থ প্রয়াসে তুমি আন্দোলিত হলে নিবিড় নীরবতায় খুঁজে পাও অনিন্দ্য আমেজ বলো: ভালোবাসি ভালোবাসি প্রাণনাথ। ঘুমকাব্য ভোর হলেই ঘুম ভাঙানোর অপেক্ষায় শুয়ে থাকো অনাবিল আনন্দের ভেতর বালিশের অবিকল একটা স্বপ্ন মাথায় গুঁজে নড়ে চড়ে ওঠো হাসির বিস্তার ঘটে নীরবে - জেগে জেগে চুষে নাও স্বপ্নের মধু। তোমার দেহে জাগরণের সৌরভ নেবো বলে একবার ঘুম ভাঙনিয়া পাখি স্বপ্ন চুরি করে পালালো সমূহ সমর্পন জ্বালা নিয়ে শেষে খুঁজেছো ঘুমের আমোদ বালিশে বালিশে অবিরাম এখন সারারাত জেগে জেগে কাটে - ঘুম আসে ভোরে শিশিরের অবিকল। এটি কবিতা নয় শান্তি কিছু কথা একদম কবিতা হয় না অথবা কিছু খুব কবিতা মোক্ষলাভের একটি ব্যাপার নিয়ে হয় না কবিতা তখন নির্বাণের কথা বলে দেখি কি হয় কোন কিছুতে ফিদা হবার অমোঘ ঘটনা ফাঁস করে দিলে কবিতা হয়ে যাবে আজকাল নিজেকে বড়ো বেশি কবিতা কবিতা মনে হয় জাগতিক স্রোতের প্রতিকূলে হেঁটে লাগে বেশ তোমাকে বোঝার চেষ্টা কবিতার থিসিস অর্থহীন তুমি ঘোর মায়াময় গুহা গুহার ভেতরে কবিতা নয় বরং মদের দেহ দরিয়া মোক্ষলাভ বা নির্বাণ কোনটাই হবে না বাকি জীবনে হতে পারে কবিতা - কবিতা জীবন অথবা জীবন কবিতা কোন কিছুই কবিতা মনে হয় না অথবা সবকিছুই কবিতা মানুষ কবিতা নয় বড়ো বেশি শান্তি খোঁজে এটি কবিতা নয় শান্তি ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি... পরিষ্কার আঁধার আঁধার মানে আলোর চেয়ে বেশি কিছু আলোকিত চারপাশ - পরিষ্কার নয় সবকিছু আঁধারে হারানো হলো অদৃশ্য আলোর ভেতর ডুবে যাওয়া দৃশ্যমান দুনিয়ায় কতোটা ধরে চোখে আঁধারে যতোটা ধরে অফুরান তার ভেতর অনাবিল সুন্দর - পরিষ্কার আঁধার আঁধারে যতো আনন্দ তার কিছুই নেই আলোতে চলো আঁধারে বাধিঁবো ঘর - আঁধারে আদর বাংলাদেশ সময় : ১৩৩২ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ ২০১৩ |
সোমবার, ২৩ জুন, ২০১৪
শেখর দেব-এর ছয়টি কবিতা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন