সময়টার শক্তিজাগানিয়া কবি শেখর দেব’র প্রথম কবিতার বই বেরুচ্ছে এবারের
বই মেলায়। কবিতার বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী মোবাশ্বির আলম মজুমদার।
কপালের শ্রুতিলিপি, নিবিষ্ট নিনাদ, শ্বাসবিদ্ধ শঙ্করাসহ অনেক নামের মাঝ
থেকে তাঁর প্রথম বউ সন্তান বইটির উপযুক্ত নাম রাখা হয়েছে ‘প্রত্নচর্চার
পাঠশালা’।
নামের ভেতরেই অঙ্কিত দেখাযায় যুব নারী সুন্দর গুলো।
কবি শেখর দেব তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠ প্রেমের প্রতিক্রিয়া
“ আমার একটি বউ হবে হবে করে প্রেমের বয়স হলো প্রায় দশ বছর। দশটি বছর তিল তিল করে গড়েছি আদর ও ভালোবাসা দিয়ে। বউটি আগাগোড়া কবিতা। অবশেষে বউটি আমার আসছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এক গুণী শিল্পী তাকে তুলির ছোঁয়ায় সাজিয়েছে দারুণ। বউটি আমার ঘরে এনে সবাইকে দিয়ে দেব, যারা যারা নিতে চায়। তার বুকে আছে রমনীয় প্রত্নগন্ধ। তার শরীরে আছে মাতাল সোঁদা গন্ধ। তার প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে হাত বুলিয়ে আমি পুলকিত হই। আপনারাও মুগ্ধতার মত্ততায় হারাবেন আশা রাখছি। মূলত আপনাদের হাতে তুলে দেওয়াই বাসনা। যদিও খারাপ লাগছে নিজের বউ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেব ভেবে। কি করা বউ এর নিয়তি! একটু পর তার অবয়ব খানি আমার প্রোফাইলে শোভা পাবে।
____________________
উপরের 'বউ'গুলো 'বই' হয়ে গেলে দারুণ হয়।
আমি কিন্তু এতো উদার বা পাগল নই!!!!”
প্রকাশ পূর্ব একটু পাঠে বেশ জোরালো ভাবে মনে হয়েছে প্রত্নচর্চার পাঠশালার কবিতাগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজস্ব ধরণের আলাদা বলে মনে হয়েছে। এই সময়ের কবিতায় সংগ্রহে রাখার মতো কাজ হচ্ছে- এই খুশিতে আমিও বেশ আনন্দিত।
এবার তার একটি কবিতা পাড়া যাক
কাঠের সিন্দুকে জ্বলে লাখবাতি। অন্নপূর্ণার হাসিতে কোকিল
ডাকে ধানের গোলায়। পরিপাটি ধুতির ভাঁজ; জ্বলে হাসি সুখের
বাতি। রঙিন আঁচলে দেখা দীঘির দীঘল ঘাট সব জানে।
শিমুলতলায় ঝরাপাতা করবন্দি করে পেয়েছি সুদীর্ঘ আয়ু।
গন্ধরাজের বাগানে প্রজাপতি-চোখে খুঁজেছি তৃষ্ণাবিনাশী নদী।
অবশেষে সেই নদীতেই হারিয়েছি সব।
শুভ্র বসনা দিদির সন্তানেরা নিয়ম ভেঙে গড়েছে দিনরাত। আঁধার
সিন্দুকে জমা আছে দাদার শোক, দিদির দীর্ঘশ্বাস।
-লাখবাতি/ শেখর দেব / প্রত্নচর্চার পাঠশালা
কবি শেখর দেব লিখছেন দীর্ঘদিন থেকে, তবে প্রচলিত অর্থে বই আকারে লিখেনি। কবিতাগুলো বিভিন্ন সময় জন্ম নিলেও বইটা এখনো দেবজীর পেট হতে বেরোয়নি। মাত্র ক’দিন বদে মেলা শুরু। যদ্দুর জানি আগামী মেলার পাঠসূত্র থেকে যে কোন একদিন বইটি বাজারে চলে আসবে। আর প্রচ্ছদে লিখেছেন কবি এজাজ ইউসুফী..বিষয়টা বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই।
নামের ভেতরেই অঙ্কিত দেখাযায় যুব নারী সুন্দর গুলো।
কবি শেখর দেব তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠ প্রেমের প্রতিক্রিয়া
“ আমার একটি বউ হবে হবে করে প্রেমের বয়স হলো প্রায় দশ বছর। দশটি বছর তিল তিল করে গড়েছি আদর ও ভালোবাসা দিয়ে। বউটি আগাগোড়া কবিতা। অবশেষে বউটি আমার আসছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এক গুণী শিল্পী তাকে তুলির ছোঁয়ায় সাজিয়েছে দারুণ। বউটি আমার ঘরে এনে সবাইকে দিয়ে দেব, যারা যারা নিতে চায়। তার বুকে আছে রমনীয় প্রত্নগন্ধ। তার শরীরে আছে মাতাল সোঁদা গন্ধ। তার প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে হাত বুলিয়ে আমি পুলকিত হই। আপনারাও মুগ্ধতার মত্ততায় হারাবেন আশা রাখছি। মূলত আপনাদের হাতে তুলে দেওয়াই বাসনা। যদিও খারাপ লাগছে নিজের বউ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেব ভেবে। কি করা বউ এর নিয়তি! একটু পর তার অবয়ব খানি আমার প্রোফাইলে শোভা পাবে।
____________________
উপরের 'বউ'গুলো 'বই' হয়ে গেলে দারুণ হয়।
আমি কিন্তু এতো উদার বা পাগল নই!!!!”
প্রকাশ পূর্ব একটু পাঠে বেশ জোরালো ভাবে মনে হয়েছে প্রত্নচর্চার পাঠশালার কবিতাগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজস্ব ধরণের আলাদা বলে মনে হয়েছে। এই সময়ের কবিতায় সংগ্রহে রাখার মতো কাজ হচ্ছে- এই খুশিতে আমিও বেশ আনন্দিত।
এবার তার একটি কবিতা পাড়া যাক
কাঠের সিন্দুকে জ্বলে লাখবাতি। অন্নপূর্ণার হাসিতে কোকিল
ডাকে ধানের গোলায়। পরিপাটি ধুতির ভাঁজ; জ্বলে হাসি সুখের
বাতি। রঙিন আঁচলে দেখা দীঘির দীঘল ঘাট সব জানে।
শিমুলতলায় ঝরাপাতা করবন্দি করে পেয়েছি সুদীর্ঘ আয়ু।
গন্ধরাজের বাগানে প্রজাপতি-চোখে খুঁজেছি তৃষ্ণাবিনাশী নদী।
অবশেষে সেই নদীতেই হারিয়েছি সব।
শুভ্র বসনা দিদির সন্তানেরা নিয়ম ভেঙে গড়েছে দিনরাত। আঁধার
সিন্দুকে জমা আছে দাদার শোক, দিদির দীর্ঘশ্বাস।
-লাখবাতি/ শেখর দেব / প্রত্নচর্চার পাঠশালা
কবি শেখর দেব লিখছেন দীর্ঘদিন থেকে, তবে প্রচলিত অর্থে বই আকারে লিখেনি। কবিতাগুলো বিভিন্ন সময় জন্ম নিলেও বইটা এখনো দেবজীর পেট হতে বেরোয়নি। মাত্র ক’দিন বদে মেলা শুরু। যদ্দুর জানি আগামী মেলার পাঠসূত্র থেকে যে কোন একদিন বইটি বাজারে চলে আসবে। আর প্রচ্ছদে লিখেছেন কবি এজাজ ইউসুফী..বিষয়টা বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন