শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

তিমির অরণ্য


শেখর দেব

অনুভূতির তিমিরে হারানোর সুখস্মৃতি ভুলে
কত দূর এগুবে বলো - সুরের আকাশে
কেটেছে কতকাল নিবিড় আলিঙ্গনে...
প্রশস্ত বুকের মায়া ছেড়ে
কোন অরণ্যে খুঁজে পাবে আকুলতার ঘোর।
পথের মায়া ভুলে অনেক দূর এসেছি
ঘন ছায়া ঘেরা প্রেম হেঁটেছে পিছু পিছু
কোলাহলের ভেতর মুক্ত মানুষ একা...
রাতের জোনাকির কাছে ফেলে আসা গাথাগুলু
নিরবে চঞ্চল হয়ে খোঁজে মমতা
ততদিনে একা হয়ে ওঠে রাত।

শাহবাগে ফাঁসি

শাহবাগে ফাঁসি



শাহবাগে ফুটে আছে সহস্র বোধের বাতি
যেখানে চেতনার সাহস নিয়ে খুলেছে জনতার আদালত
রাস্তার কালো ক্যানভাসে ক্যানভাসে প্রতিবাদ
কতোটা ধর্ষণ
কতোটা মানুষ জবাই করলে
একজন কিম্ভূত প্রাণীর ফাঁসি দিবে আদালত?
জাতির বিবেকের উপর যারা
কলঙ্কের দাগ দিয়ে নিমেষে ভি চিহ্ন দেখায়
কে আজ দিবে তার প্রশ্রয়?
শাহবাগে চলো
চলো শাহবাগে বানাই একটি ফাঁকির বাকি ইতিহাস
শত খুন
শত ধর্ষণের
রায় দিয় একটি ফাঁসি
ফাঁসি বিনা হাসি ফোটবেনা শহবাগে এ আছে প্রত্যয়।

প্রজন্মবোধ


প্রজন্মবোধ




কতদূর যাবে সবুজের অনন্ত পিপাসা ফেলে। কোথায় পাবে রক্তে রক্তে রঞ্জিত সবুজ।
শাহবাগের তীব্র স্লোগানের ভেতর পেয়ে যাবে হারানো স্বজনের সুর। অনবদ্য কোন
চেতনার ভেতর বয়ে গেছে অক্লান্ত সৌরভ। যার সুরভিতে জেগে ওঠে প্রবল প্রতিবাদ।
বোধের বাতাসে বেজে ওঠে নিপাতবাঁশি। অদম্য সুরে নাচে স্বাধীনতালব্ধ প্রজন্মবোধ।
দুরন্ত তারুণ্যের পাঠশালায় এসো তবে ছাত্র হয়ে শিখে নাও অবারিত মাতৃ-ভালোবাসা।
মা আহ বোবা মা আমার! তোমার প্রাণের শান্তি কিনে নিয়ে তবে ফিরব বাড়ি।
বোনের আড়ি দেয়া হাতে তুলে দেব রাঙা পলাশ। যার কিশোরী সম্ভ্রমের বিনিময়ে
পেয়েছি তোমার এ সবুজ আঁচল। আজ তবে খুলে যাবে ভোর আর অশুভ আগল।

রাজীবের রক্ত

রাজীবের রক্ত




পড়ন্ত বিকেলে সূর্যের অবিকল নির্বাক হয়ে ওঠে

শাহবাগ
রক্তে রঞ্জিত রাজীব পতাকা শোভিত কফিনে
অনন্ত ক্ষোভ
নিঃশ্বাসে তাপ
অনুতাপ
উত্তাপ
কম্পিউটারের কিবোর্ডে শতো রাজীবের আঙ্গুলে সচল
উদ্যাম
অবিরাম
খুন হবার অধীর আগ্রহে জেগে আছে শাহবাগ!
প্রোজ্জ্বল শিখায় অনির্বাণ আলোর মিছিল
মিছিলে মুছে যাবে বিদঘুটে আঁধার
তুমুল রক্তে গমগমে প্রান্তর হবে না রিক্ত
রাজীব তুমি পতাকার গৌরবে অভিষিক্ত।